মিথ্যা কথাবলার অভ্যেসটা গড়ে ওঠে ছোটবেলা থেকেই ছোট বাচ্চারা অনেক সময় দুষ্টুমি লুকানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে কিন্তু সে যদি ছোটবেলাতেই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে না পারে তাহলে সে বড় হয়ে এমন পার্সোনালিটির মানুষ হয়ে ওঠে যার মিথ্যা বলতে কোন সঙ্কোচ হয় না। যদিও মিথ্যাচারণ প্রয়োজনে কম বেশি সব মানুষই করে থাকেন কিন্তু উঠতে-বসতে যখন মিথ্যা বলে তখন বুঝে ফেলতে হবে সেটি সামান্য মিথ্যা নয় সেটা অন্য পর্যায়ে চলে গেছে
Contents
মিথ্যা কথা বলার সময় কিছু লক্ষ্যনীয় বিষয়ঃ
#১। যার সাথে কথা বলছেন তার চোখের দিকে তাকিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করুন তিনি যদি চোখ সরিয়ে নেন বা নিচের দিকে তাকিয়ে থাকেন বুঝবেন তিনি মিথ্যা বলছেন এটা একটা মিথ্যা বলার লক্ষন।
#২। যার সঙ্গে কথা বলছেন তার কথা বলার ধরনের দিকে খেয়াল করুন যদি তিনি সাধারনভাবে কথা বলে যান কোনও বরতি ছাড়া এবং মাঝ মাঝে আম উম এই ধরনের শব্দ করেন তাহলে সেটা ও একটা মিথ্যা বলার লক্ষন।
#৩। মিথ্যা বলার সময় মানুষ হাত গুটাতে পারে অথবা পায়ে ঘষা দিয়ে হাঁটতে পারে অথবা আসস্থি অনুভব করতে পারে এটার কারণ সে নাভাস এবং তার সাধারন আচার ব্যবহার পরিবর্তন করতে চাইছে।
#৪। মুখের ভাবের পরিবর্তন মিথ্যা বলার আরেকটি লক্ষন লক্ষ্য করুন মিথ্যা বলার সময়ে বাক্তিটির চোকের ভ্ররুস উপরের দিকে উঠছে কিনা স্বাভাবিকভাবেই তার ভুরু নাড়চড়া করবে বেশি অথবা তিনি হাসবেন এমন একটা সময়ে যখন হাসার কোনও কারন নেই।
#৫। একইভাবে মিথ্যা বলার সময় মানুষের শারীরিক নাড়চড়া বেড়ে যায় শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হওয়া হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া নারির স্পন্দন বেড়ে যাওয়া মিথ্যা বলার লক্ষন এই ছোটো খাটো কয়েকটা ব্যাপার খুটিয়ে দেখে এটা না হয় বোঝা গেল যে কে মিথ্যা বলছেন আর কে নয় তারপর ? বন্ধুটি যদি আপনার প্রিয় হয় তবে তাকে একটু সাহায্য করুন অভ্যাস পাল্টাতে কাজটা আমন কিছু শক্ত নয় আপনি শুধু একটু সমস্যাটার একটু গভীরে যান।
মিথ্যা কথা ছাড়ানোর কয়েকটি পদ্ধতি
মিথ্যা কথা বলার ব্যপারটা অনেকটাই মানসিক আর যে কোনও মানসিক সমস্যা দূর করতে হলে আগে অন্য মানুষটির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আপনার বন্ধুটির মিথ্যা বলার প্রবণতাটিকে অন্য যে কোনও গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরুন তার সামনে দেখুন সে নিজের প্রবলেমটি বুঝতে পারছে কিনা। এমন ব্যাক্তিরা অনেক সময় না বুঝে মিথ্যা কথা বলে থাকে। কথায় কথায় জেনে নিন এমন কোনও ঘটনার কথা যা তার জীবনে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলেছে কিনা। সম্ভবত তার অজান্থেই মিথ্যা বলার পেছনে গভীর কোন ক্ষত থাকতে পারে সেই ক্ষতকে সারানোর চেস্টা করুন। এবং এরই পাশাপাশি বন্ধু কে বোঝান যে মিথ্যা বলে কীভাবে অন্যদের কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন তিনি। এসবেও যদি কাজ না হয় তাহলে বন্ধুকে নিয়ে যেতে পারেন কোনো মনোবিদ বিশেষজ্ঞ এর কাছে। এরপরও যদি তিনি সুস্থ না হন তাহলে নিজে সরে আসতে পারেন নয় তো শুধু মিথ্যাটাকে প্রশ্রয় না দিলেই হল।
Leave a Reply