Contents
কেনো নিয়মিত কুমড়োর বীজ খাবেন?
কুমড়োর বীজ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আশ্চর্য জনক ভাবে কাজ করে। গত কয়েক বছরে কুমড়োর বীজ বা পেপিটাস মানুষের স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই খাবার উপযোগী বীজগুলি যা সমান এবং ডিম্বাকৃতি আকারের হয়, এগুলো সাধারণত ভুনা করা হয় এবং তারপরে খাওয়া হয়। এবং সবচেয়ে ভালো কথা হচ্ছে আপনি ক্যালোরির পাইলিংয়ের বিষয়ে চিন্তা না করেই কুমড়োর বীজের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আর কুমড়োর বীজ খেতে খুবই সুস্বাদু।
প্রিয় বন্ধুরা, আমরা কুমড়োর বীজ সম্পর্কে অনেকেই জানি না। কুমড়োর বীজ সত্যি খুব সুস্বাদু এবং এটা খুবই পুষ্টিকর একটা খাবার। এগুলিতে প্রায় সব রকমেরই পুষ্টি উপাদান আছে। ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার থেকে শুরু করে প্রোটিন এবং দস্তা পর্যন্ত সমস্ত কিছু আছে। আর এগুলো হলো প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডগুলির একটি সমৃদ্ধ উৎস যা স্বাস্থ্যকর রক্তনালীগুলি সচল রাখতে সহায়তা করে এবং দেহের খারাপ কোলেস্টেরল গুলো কমিয়ে ফেলে।
সুতরাং আর দেরি না করে আসুন কুমড়োর বীজের বিভিন্ন সুবিধাগুলি থেকে সরাসরি জেনে নেই যা আমাদের অধিকাংশরই অজানা।
১. ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত কুমড়োর বীজ খেলে কোলেস্টেরল পরিমান এবং রক্তে শর্করার মাত্রা সহ ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত জটিল রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। কারণ এই বীজের হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার দেহে চিনি বা শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
বিস্তারিত জানতেঃ ডায়াবেটিস কি এবং কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন
২. হার্ট বা হৃৎপিন্ডকে সুস্থ্য ও সচল রাখে
এটি আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে, কিন্তু এটি একেবারেই সত্য। কুমড়োর বীজ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা এটি আপনার হৃৎপিন্ডের জন্য খুবই উপযোগী খাবার। এ ছাড়াও কুমড়োর বীজে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই কুমড়োর বীজ খুবই উপযোগী এবং স্বাস্থ্যকর খাবার।
৩. খুব ভালো ঘুম হয়…
অনেকেই জানেন না যে কুমড়োর বীজে সেরোটোনিন থাকে, সেরোটোনিন একটি নিউরো-রাসায়নিক, যাকে প্রকৃতির ঘুমের ওষুধও বলে। এই বীজগুলির মধ্যে ট্রাইপ্টোফেনও রয়েছে যা উচ্চমাত্রায় একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা পরে শরীরে সেরোটোনিনে রূপান্তর হয়, যাতে আপনি খুব ভালো নির্ভেজাল ঘুম উপভোগ করতে পারেন। আপনি ঘুমানোর আগে কয়েকটা কুমড়োর বীজ খেয়ে ঘুমান এবং দেখবেন আপনি পরের দিন সকালে নিজকে সতেজ বোধ করছেন।
৪. নতুন চুল গজাতে খুবই উপযোগী
আমরা আর অবাক না হই, কারণ কুমড়োর বীজ হলো পুষ্টির পাওয়ার হাউস সেটা আমরা এতোক্ষনে বুঝে গেছি। এগুলোতে কিউকারবিটাসিন রয়েছে, কিউকারবিটাসিন এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এগুলো ছাড়াও কুমড়োর বীজে ভিটামিন সি রয়েছে এবং আমরা ইতিমধ্যে জানি আপনার চুলের বেনুনীর জন্য আশ্চর্যজনকভাবে ভাল কাজ করে। প্রতিদিন এক মুষ্টিমেয় কিছু বীজ গ্রহণ করুন এবং অল্প সময়ের মধ্যে এটির পার্থক্য দেখুন।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে
সাধারণত প্রথম দিকেই আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ত্যাগ করি। তবে হতাশ নয়, কুমড়োর বীজ আপনাকে সহয়তা করবে। যদি আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে আরও একটু সময়ের জন্য ধর্য্য ধরে এই বীজগুলি সেবন করুন এবং নিজে নিজেই এর ফল উপভোগ করুন। এবং কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকে তাই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যও ভালো করে এবং পেট ক্লিয়ার থাকে।
আরো জানতেঃ কুমড়োর বীজের উপকারিতা
তাহলে এইবার বাজারে গিয়ে কুমড়োর বীজ নিতে ভুলবেন না কিন্তু।
Leave a Reply